বাংলা নববর্ষ
পুরানো বছরের জরোজীর্ণতাকে বিদায় দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন বছর, নতুন সূর্যোদয় ও নতুন প্রত্যাশা। আমাদের সকলের জীবনের পুরোনো বছরের সকল অর্জন, ব্যর্থতা, হতাশা, বঞ্চনা-গ্লানি, দুঃখ-কষ্ট, পাওয়া ও না পাওয়া সবকিছু ভুলে নতুন বছরের নতুন জীবনে পা রাখি। নতুন উদ্যমে কাজ করি জীবনের উন্নতির স্বপ্ন নিয়ে।
পরিবার-সমাজ ও দেশে ফিরে আসুক অনাবিল আনন্দ, সুখ-শান্তি এবং সর্বদা স্বস্তি বিরাজ করুক এই আশা করেই চৈত্র মাসের শেষ দিনটি বিদায় এবং বছরের প্রথম দিনটি বরণ করা হয়। সূর্যোদয় থেকে পুরোটা দিন বাঙ্গালী জাতি নতুন বছরকে জাঁকজমকপূর্ণভাবে স্বাগত জানায় ও নববর্ষ বরণ করে।
বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসব:
বাংলাদেশে সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয় বাংলা নববর্ষ উদযাপন। বাংলা নববর্ষ সকল ধর্মের ও শ্রেণীর বাঙালীর নিকট সামাজিক ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব। প্রতি বছরে প্রত্যেকটি বাঙালী ১লা বৈশাখে বিভিন্ন বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ বরণ করে। শহর থেকে শুরু করে প্রতিটি নগরে ও গ্রামে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধূলা, শোভাযাত্রা, ঐতিহ্যমন্ডিত খাবার আয়োজন ইত্যাদির মাধ্যমে এই বর্ষবরণ উৎসব পালন করে থাকে।
অতিথি পরায়ণ এ বাঙালী জাতি এই দিনেও আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের দাওয়াত দিয়ে থাকে। এতে আরো আন্তরিকতা, ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। অনেক এলাকায় একে অপরকে উপহার দেওয়া-নেওয়ার নিয়মরীতি প্রচলন রয়েছে যার ফলে সামাজিক জীবন মাধ্যমে এই দিনটিকে আরোও ভ্রাতৃত্ববোধ, ঘনিষ্ঠতা, আন্তরিকতা ও অর্থপূর্ণ করে তোলে।
হালখাতার আয়োজন:
১লা বৈশাখ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠানে মালিকেরা হালখাতার আয়োজন করে থাকে। ব্যবসায়ীরা হিসাব-নিকাসের নতুন খাতা খোলেন ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্রাহকের নিকট পাওনা থাকলে তা মওকুফ করা হয়। এছাড়াও ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের মিষ্টি ও উপহার বিতরন করে থাকেন।
আরও পড়ুন করোনাকালীন এসময়ে করণীয় কাজগুলো কী কী
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে চলছে মহামারী করোনা। করোনার কারণে আমাদের সকলের জীবন এখন চলছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। স্বাভাবিকভাবেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মহামারি করোনা থেকে সহসা মুক্তির প্রত্যাশা নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করা হবে।
করোনাকালীন উৎসববিহীন বাংলা নববর্ষ পালন:
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে চলছে মহামারী করোনা। করোনার কারণে আমাদের সকলের জীবন এখন চলছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। স্বাভাবিকভাবেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মহামারি করোনা থেকে সহসা মুক্তির প্রত্যাশা নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করা হবে।
আরও পড়ুন আগুনে বা তেলে পোড়ার পর করণীয়
গতবছরেও আমাদের অনেক আপনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। আমরা যারা এখনও সুস্থ, নিরাপদ আছি, তবে জীবিত আছি। সামনের বছর হয়তো আমরা বেঁচে নাও থাকতে পারি। আমাদের জীবনের প্রতিটি সময় অত্যন্ত মূল্যবান। সময়কে অবহেলা না করে জীবনটা কাজে লাগানো অত্যন্ত জরুরি। তাই আসুন আমরা অতিতের হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা, হানাহানি ভুলে গিয়ে নতুন সূর্যোদয়ের মাধ্যমে নতুন বছরে নতুনভাবে দৃঢ় সংকল্প করি।
গতবছরেও আমাদের অনেক আপনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। আমরা যারা এখনও সুস্থ, নিরাপদ আছি, তবে জীবিত আছি। সামনের বছর হয়তো আমরা বেঁচে নাও থাকতে পারি। আমাদের জীবনের প্রতিটি সময় অত্যন্ত মূল্যবান। সময়কে অবহেলা না করে জীবনটা কাজে লাগানো অত্যন্ত জরুরি। তাই আসুন আমরা অতিতের হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা, হানাহানি ভুলে গিয়ে নতুন সূর্যোদয়ের মাধ্যমে নতুন বছরে নতুনভাবে দৃঢ় সংকল্প করি।
লেখক/অবদানকারী: অবদানকারী পৃষ্ঠাটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন
আমাদের ফেসবুক পেজ @NURStudioBD
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল @Cooking,Health,&Beauty
আমাদের লাইফস্টাইল বিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল AUHStyle
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন