শবে বরাত: করণীয় ও বর্জনীয়
শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হয়। আরবীতে শবে বরাতের রাতকে লাইলাতুল বারাত বলা হয়। আমাদের মুসলিম সমাজে শবেবরাত রাতকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হয়। আরবী বারো মাসের মধ্যে পাঁচটি রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ; রাতগুলো হলো শবে মেরাজ, শবে বরাত, শবে কদর, এবং দুই ঈদের দিন(রমজানের ঈদ ও কুরবানীর ঈদ)।
আরও পড়ুন ঈদুল-আযহা ও কুরবানীর কিছু কথা
যে সব মুসলিমগণ সারা বছর এবাদত বন্দেগী করে থাকে, তারা শবে বরাতের রাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পালন করে থাকে। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনে রোজা রাখে ও রাতে ইবাদত-বন্দেগী করে। শবেবরাত এই রাতকে ক্ষমার ও বরকতের রাত বলা হয়। এই রাতে আল্লাহ তার সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেন; তবে দুই শ্রেনীর লোক ক্ষমা পায় না, তারা হলো - শিরক গুনাহকারী ও বিদ্বেষকারী।
শবে বরাতে কি করা উচিত?
নামাজ কালাম পড়া, রোজা রাখা, কোরআন তেলাওয়াত করা, দোয়া কালাম পড়া, দরুদ শরীফ পড়া, তওবা করা, জিকির করা, কবর জিয়ারত করা, নফল নামাজ পড়া, তওবার নামাজ পড়া, তাহিয়াতুল অজু, তাহাজ্জুত নামাজ পড়া, ছালাতুত তাসবিহ, ছালাতুল হাজাত, ও আরও অন্যান্য নফল নামাজ পড়া ও ফজিলতের দোয়া/সুরাগুলি তেলওয়াত করা।
আরও পড়ুন পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত পাঁচটি ফুল
নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, পিতা-মাতার জন্য, আত্মীয়-স্বজন জন্য বন্ধু-বান্ধবের জন্য, পাড়া-পড়শীর জন্য ও সকল মুসলিম উম্মার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। যতদিন আমরা বেঁচে থাকবে ততদিন সকল মুসলিমদের জন্য এমন দোয়া করবো যেন তারা দুনিয়াতে সততা ও ন্ষ্ঠিার সাথে আল্লার পথে চলতে পারে।
শবে বরাতে কি করা উচিত না?
-শবে বরাতের রাতে আতশবাজি ও পটকা ফুটানো, হৈ-হল্লুর করা, আন্ন্দ উল্লাস করে বেড়ানো, মসজিদে, বাড়ীতে, বিভিন্ন বাসভবনগুলোতে আলোক সজ্জা করা উচিত না।
-হালুয়ারুটি তৈরি করে খাওয়া, আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত করা, আশে-পাশে বিলি করা জরুরী মনে করে নামাজ কালাম না পড়া।
-দলবেঁধে সবাই একত্রিত হয়ে মসজিদে নামাজ পড়তেই হবে এ ধরনের ধারনা করা, নফল নামাজ ঘরে বসেই পড়া যায়, মসজিদে গিয়ে পড়তেই হবে এমন চিন্তা করা।
-মসজিদে মিষ্টি, জিলেপী, বিরিয়ানি, তবারক ও আরও অনেককিছু বিতরণ করা।
আসুন, আমরা সবাই এখন থেকে ও আজ থেকে সারা বিশ্ব সৃষ্টিকারী, সর্বশক্তিমান, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, রাহমানির রাহিম, দয়াময় মহান আল্লাহর নিকট দু’হাত তুলে দোয়া করি যেন এখন থেকে ছোট বা বড় যে কোন ধরনের অন্যায়-অপরাধ, মারামারি, কাটাকাটি, খারাপ কাজ, হিংসা-বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকি। শিরক অথবা কোন কঠিন অন্যায় কাজ না করি, অন্যরাও না করে সেদিকে খেয়াল রেখে শশথ নেই এবং সততা ও ন্ষ্ঠিার সাথে আল্লাহর পথে চলি। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক/অবদানকারী: অবদানকারী পৃষ্ঠাটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন
আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়
আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন শবে বরাতের তাৎপর্য ও করণীয়
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন